ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

দেশজুড়ে রেড অ্যালার্ট: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ ::  ঢাকার আদালত থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবির দুই সদস্যকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দেশে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। রোববার বিকেলে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গি সদস্যদের শিগগির গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোর্টে কয়েকজন জঙ্গি যাদের আমরা গ্রেপ্তার করেছিলাম, আমি যতটুকু জানি আদালত তাদের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দুজন ছিল; একজন আবু সিদ্দিক ওরফে সোহেল ওরফে সাকিব, অন্যজন মাইনুল হাসান শামীম, দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাদের নিয়ে এসে কোর্ট হাজতে রাখা হয়। বিচারকের সামনে হাজিরা শেষে আবার যখন তাদের নির্দিষ্ট রুমে নিয়ে যাচ্ছিল তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের কেমিক্যাল ছুড়ে অজ্ঞান করে কয়েকজন সমর্থক তাদের নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে আমরা রেড অ্যালার্ট জারি করেছি। আমাদের পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছে তাদের। শিগগির তাদের ধরতে পারবো বলে আমরা বিশ্বাস করি।

তিনি আরও বলেন, কী স্প্রে দিয়েছে, কারা দিয়েছে সবগুলো বিষয় বলতে আমাদের আরেকটু সময় লাগবে। তদন্ত করে আমরা বলবো।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বর্ডার এলাকাগুলোতেও বলে দিয়েছি। তারা যেন আমাদের দেশ থেকে পালিয়ে যেতে না পারে। এই ঘটনাটি দুঃখজনক। যদি কারও অবহেলা থাকে, গাফিলতি থাকে, যদি কেউ ইচ্ছা করে এই কাজটি করে থাকেন তার উপযুক্ত ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করবো। নিশ্চয়ই আমরা তদন্ত কমিটি করবো, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

এর আগে দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবির দুই সদস্যকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন তাদের সহযোগীরা। পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গি- মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত।

এদিকে আদালত এলাকায় বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ। পুরো এলাকায় চালানো হচ্ছে তল্লাশি। ডিবি পুলিশ, সোয়াট, র‌্যাব ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরাও তৎপর। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট-সোয়াট ও পুলিশের বিভিন্ন সাজোয়া যান মোতায়েন করা হয়েছে।

পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিলে প্রত্যেকের জন্য ১০ লাখ টাকা করে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। রোববার বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।

পাঠকের মতামত: